পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, কেন্দ্রীয়ভাবে সার্ভার আপডেট কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পৌর বাসিন্দারা আগের মতোই সব সেবা পাবে।
জানা য়ায়, ২০১০ সাল থেকে দেশে শুরু হয় পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কার্যক্রম।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমি গত কয়েক দিন ধরে বান্দরবান পৌরসভায় যাচ্ছি আর আসছি কিন্তু কোনো কাজই করতে পারছি না। হঠাৎ করে বন্ধ রয়েছে বান্দরবান পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের সংশোধন কার্যক্রম। অফিসে গেলে কর্মচারীরা শুধু বলে সার্ভার নষ্ট।
পৌরসভায় জন্ম নিবন্ধন করতে আসা রেহানা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমার পরিবারের এক শিশুর জন্য জন্ম নিবন্ধন করতে এসেছি। কিন্তু জন্ম নিবন্ধন করতে না পেরে আমাদের কাজ থমকে গেছে।
শুধু সনদপত্রের সংশোধন কার্যক্রম নয় নতুন করে জন্ম নিবন্ধন করতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ নাগরিকরা। সার্ভার সমস্যার কারণে পৌরসভার কাজ কর্মে রয়েছে ধীরগতি।
বান্দরবান পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন কর্মী মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক মাস ধরে বান্দরবান পৌরসভার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম প্রায়ই বন্ধ। আমরা কয়েক দিনেই প্রায় ৮০০ জন্ম নিবন্ধন ফরম গ্রহণ করেছি বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে, সার্ভার ঠিক হলে আমরা আশা করি গ্রাহকদের এই সেবা দিতে পারবো।
বান্দরবান পৌরসভার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রস্তুতকারক আবু বক্কর ছিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চাই আমাদের কাছে যারা সেবা নিতে আসে তাদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে। কিন্তু হেড অফিস থেকে আমাদের পৌরসভার জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমরা কাউকে এই ব্যাপারে কোনো সেবা দিতে পারছি না।
বান্দরবান পৌরসভার সচিব তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে পৌরসভার সার্ভারের আপডেট কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারা কখন এই সমস্যা সমাধান করবে সে বিষয়ে আমাদের বিশদ কিছু বলতে পারেনি।
বান্দরবান পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে প্রায় ৮০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ইতোমধ্যে বান্দরবান পৌরসভায় অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করেছে ৭৩ হাজার ২৮০ জন ব্যক্তি। আর মৃত্যু সনদপত্র নিয়েছে ৯০৯ জন।
পাঁচ বছরের কম শিশুদের জন্য ২৫ টাকা আর তদূর্ধ্বের জন্য ৫০ টাকা জন্ম নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। স্থানীয় নাগরিকদের দাবি দ্রুত সময়ে পৌরসভার এই সার্ভারের সমস্যা নিরসন করে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এনটি