শুক্রবার (০৬ মার্চ) সকাল থেকেই পাটুরিয়া ট্রাক ট্রার্মিনালে চালকদের টিকিট নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার এমন চিত্র দেখা গেছে।
ট্রাক চালকদের অভিযোগ, সিরিয়ালে থেকেও ফেরি পারের কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাচ্ছেন না বেশির ভাগ পণ্যবোঝাই ট্রাক চালক।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টে যাত্রীবাহী পরিবহনের চাপ অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকে। যার কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিবহন পার করা হয়ে থাকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। অার এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিআইডব্লিউটিসির টিকিট কাউন্টারের টিএস, এটিএস ছোট পণ্যবোঝাই ট্রাকের টিকিট ১ হাজার ৬০ টাকা এবং বড় পণ্যবোঝাই ট্রাকের টিকিট ১ হাজার ৪৬০ টাকা। অথচ বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিটি ট্রাক থেকে ৪ থেকে ৫শ’ টাকা অতিরিক্ত নিচ্ছে তারা। অসহায় পণ্যবোঝাই ট্রাক চালকরা বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ফেরি পারের টিকিট নিয়ে নৌপথ পার হচ্ছেন।
খুলনাগামী মেসার্স সোহানা এন্টারপ্রাইজের একটি কাভার্ড ভ্যানচালক লাল্টু বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রায়ই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পার হয়ে থাকি। কোনো দিন সরকারি নির্ধারিত মূল্য দিয়ে টিকিট কেটে ফেরি পার হতে পারিনি। আমার বড় গাড়ির টিকিট ১ হাজার ৪৬০ টাকা কিন্তু ফেরি পারের জন্য টিকিট কাউন্টারে দিতে হয় ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। অনেক সময় আমরা যারা ট্রাকচালকরা অাছি, তারা গেলেও টিকিট দিতে চান না। আর তখন বাধ্য হয়ে দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়।
যশোরগামী নবু নামে আরও এক ট্রাকচালক বলেন, সকাল থেকে টিকিট কাটার জন্য কয়েকবার ট্রাক টার্মিনালের কাউন্টারে গিয়েছিলাম কিন্তু টিকিট দেয়নি। তবে দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৪০০ টাকা বেশি দিয়ে টিকিট পেয়েছি। পাটুরিয়া ট্রাক টার্মিনালের কাউন্টারের লোকজন দালালদের মাধ্যমে গেলে টিকিট দেন। আর আমরা নিজেরা গেলে- ‘এখন হবে না, পরে অাইসো’ বলে ঘুরিয়ে দেন।
পাটুরিয়া ট্রাক টার্মিনালের রবিউল ইসলাম তাহেরি বাংলানিউজকে বলেন, আমি বাহিরে আছি, পরে এসে কথা বলবো। কোনো নিউজ করতে হবে না বলেও জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া সেক্টরের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কেউ কোনো অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ফেরি পারের টিকিট নিলে অামাদের কিছুই করার নেই। তবে আমার কোনো স্টাফ অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে টিকিট দিলে ও কোনো চালক যদি সেই স্টাফের বিরুদ্ধে অামাদের কাছে অভিযোগ করেন, তবে সেটি যাচাই করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
এসআরএস