ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বজ্রকণ্ঠে বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছেন তা মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে রোববার (৮ মার্চ) একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। সেখানে আয়োজনের বক্তা মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যুদ্ধের সে সময়গুলোতে আমাদের একমাত্র সঙ্গী ছিল মৃত্যু। তবুও আমরা কোনো ভয় পেতাম না, দেশপ্রেম ছিল আমাদের প্রেরণার উৎস। সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ আমাদের মনকে আরও শক্তিশালি করেছে। দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এখন আন্তর্জাতিক সম্পদ। বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক নেতার বিভিন্ন আলোচিত ভাষণ রয়েছে। তবে কোনও নেতার ভাষণ এমন সংগ্রামমুখর ১০ লক্ষাধিক মুক্তিকামী নিরস্ত্র মানুষের সামনে হয়নি। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এ ভাষণটির মাধ্যমে তিনি নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তর করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের দিক-নির্দেশনা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।