রোববার (০৮ মার্চ) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘কফ থুতু করোনা ভাইরাসসহ বহু রোগ ছড়ায়: কফ থুতু যত্রতত্র ফেলা বন্ধ কর’ দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এমন কথাই বলেন বক্তারা। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), বারসিক এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান, সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ ও সেভ দ্যা রিভারের সদস্য শাকিল রহমান, পুরনো ঢাকা পরিবেশ উন্নয়নের সভাপতি হাজী আনসার আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বে এখন আতংকের নাম করোনা ভাইরাস। এই আতংক এখন বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। কফ-থুতু, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মূলত এ ভাইরাস ছড়ায়। কাজেই এই রোগ নিয়ে আতংক নয় দরকার সঠিক সচেতনতার। কফ-থুতু, হাঁচি-কাশি নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ কতগুলো সতর্কতা অবলম্বন করলে এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
বক্তারা আরও বলেন, যেখানে সেখানে কফ-থুতু ফেলা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনে। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় জনসমক্ষে থুতু ফেলাকে। অনেক সময় কফ-থুতুর জন্য রাস্তায় হাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। দৃশ্যটি যে কোনো বড় শহরের বাসিন্দাদের জন্য স্বাভাবিক নয়।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, কফ থুতু শুধু অপরিচ্ছন্নতা বা দেখতে নোংরা লাগার বিষয় নয়, এটি পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি করে। কফ-থুতু যেহেতু ভেজা অবস্থায় থাকে, সেক্ষেত্রে ভাইরাসটি জীবিত থাকে। এর ফলে এটি সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শে এসে বিভিন্ন রোগের জীবাণু ছড়ায়।
মানববন্ধনে জানানো হয়, যত্রতত্র থুতু ফেলা নিষিদ্ধ করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এমনকি ভারতেও কিছু এলাকায় আইন হয়েছে এবং জরিমানারও বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে এধরণের আইন নেই এবং সচেতনতা তৈরিরও কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনা। বাংলাদেশের অনেক সমস্যার মাঝে যেখানে সেখানে থুতু ফেলাটা হয়তো সামান্য মনে হতে পারে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান বিনামূল্যেই করা সম্ভব। শুধু আমাদের প্রয়োজন একটু সচেতনতা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এমআইএস/এবি