সোমবার (৯ মার্চ) বেনাপোল ইমিগ্রেশন ঘুরে দেখা যায়, ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী পালা করে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী ও ভারতীয় ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে।
জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়ে ৫ বছর আগে স্থাপিত থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি প্রায় তিন মাস ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে।
পাসপোর্টধারী যাএীরা বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সেখানে এখনো দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে নামেমাএ করোনা ভাইরাস শনাক্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এমনভাবে যদি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তাহলে দেশের বাইরে থেকে আসা করোনা আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা সম্ভব না।
স্থানীয়রা জানান, যেভাবে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে, এতে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সতর্কতা জারি করলেও নষ্ট যন্ত্রপাতির কারণে ঠিকমতো হচ্ছে না স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এছাড়া ইমিগ্রেশনে নষ্ট যন্ত্রপাতির কারণে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জন মনে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় তিন মাস থার্মাল স্ক্যানার অচল থাকায় হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই এ থার্মাল স্ক্যানার ঠিক করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
আরএ