১০-২০ টাকার মাস্ক বরিশাল নগরসহ বিভিন্ন স্থানে ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার যে সব দোকানে রোববার (০৮ মার্চ) পর্যন্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যেতো, তারা বিক্রি বেশি হওয়ায় সোমবার (০৯ মার্চ) স্টক সংকটের কথা বলছেন।
এদিকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হয়ে চলাচল ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঘোষিত নিয়মাবলী মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে জনসচেতনতায় মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে ছয় জেলায় পর্যবেক্ষণ বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘আমরা মূলত পারসোনাল প্রোটেকশন ও হেলথ এডুকেশন নিয়ে কাজ করেছি। এরমধ্য দিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া নিশ্চিত করা হবে। ’
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে, তাকে যে হাসপাতালে নিতে হবে এমনটা নয়। বাড়িতে আলাদা ভাবে রেখেও (হোম আইসোলেশন) চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তারপরও আমরা বরিশালের ছয় জেলার সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল প্রস্তুত রেখেছি।
‘তবে বার বার বলবো আতঙ্কিত না হয়ে, গণসচেতনা প্রয়োজন। যেমন হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি এড়িয়ে চলা, গণসমাবেশ বা প্রয়োজন ছাড়া জনবহুল স্থানে না যাওয়া, ইত্যাদি মেনে চলা ভালো। বাইরে থেকে ঘরে এসে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, এটা প্রয়োজনে দিনে কয়েকবার করা যেতে পারে। ’
তবে মাস্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা আক্রান্ত হবেন এবং তাদের যারা সেবা দেবেন, সেসব ব্যক্তির জন্য মাস্ক প্রয়োজনীয়। এর বাইরে পরার কোনো প্রয়োজন নেই। আবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের অভ্যাস থাকাটাও ভালো কিন্তু এর মানে এ নয় যে এ মুহূর্তেই মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ওপর ঝুকে পড়তে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এফএম