সংশোধিত প্রটোকল অনুযায়ী, দুই দেশ যৌথ অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ থেকে দৈ খাওয়া পর্যন্ত ১৭৫ কিলোমিটার এবং আশুগঞ্জ থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত ২৯৫ কিলোমিটার নৌ-রুট খনন ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
সোমবার (৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং উভয় দেশের সম্মতিতে বাংলাদেশের পানগাঁও ও ভারতের ধুবড়িকে পোর্ট অব কল হিসেবে নৌ-রুটে অন্তর্ভূক্তি করা হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে নৌ বাণিজ্য আরও গতিশীল ও কার্যকর করার জন্য নতুন কয়েকটি পোর্ট অব কল ঘোষণা করা, সেগুলো পরে ডিফাইন করা। আর নতুন প্রোটোকল রুট সংযোজন করা। এছাড়াও আরিচা পর্যন্ত নৌ-রুট বর্ধিতকরণ-এগুলোই এডেন্ডামের মূল লক্ষ্য ছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যৌথ অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ থেকে দৈ খাওয়া পর্যন্ত ১৭৫ কিলোমিটার এবং আশুগঞ্জ থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত ২৯৫ কিলোমিটার নৌ-রুট খনন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
নৌ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এই রুট ভারত ব্যবহার করে, আমরা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করি না। খনন ও রক্ষণাবেক্ষণে ভারত ৮০ শতাংশ এবং বাংলাদেশ দেবে ২০ শতাংশ খরচ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে মধ্যে নৌ বাণিজ্য আরও গতিশীল ও কার্যকর করার জন্য নয়াদিল্লি ও ঢাকায় ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে সভা হয়। সভায় দুই দেশের সম্মতিক্রমে দ্বিতীয় এডেন্ডাম প্রস্তুত তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এডেন্ডামে উভয় দেশের সম্মতিক্রমে ভারতের বদরপুর, সোনামুরা ও খোলাঘাট, ময়া ও জগিঘোপা এবং বাংলাদেশের ঘোড়াশাল, দাউদকান্দি, সুলতানগঞ্জ, আরিচা ও বাহাদুরাবাদকে প্রোটোকলের রুটে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নৌ রুটগুলো দুই দেশ ব্যবহার করতে পারেব বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি