ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রূপপুরের বর্জ্য বাংলাদেশের বাইরে ধ্বংস করবে রাশিয়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২০
রূপপুরের বর্জ্য বাংলাদেশের বাইরে ধ্বংস করবে রাশিয়া

ঢাকা: পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য বাংলাদেশের বাইরে নিয়ে রাশিয়া ধ্বংস করবে বলে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।

সোমবার (৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি সংশোধনে একটি খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।


 
সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ওই খসড়া অনুমোদনের সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই এবং আমাদের জায়গা ছোট, প্ল্যান্ট চালানোর ফলে যত গারবেজ আসবে সব রাশান কর্তৃপক্ষ দেশের বাইরে নিয়ে তা ডিসপোজ করবে। আজ জিনিসটা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অ্যাসোসিয়েট আলোচনা হিসেবে ক্লিয়ার করে দেওয়া হয়েছে।
 
চুক্তির খসড়া অনুমোদন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শেষ হওয়ার পরপরই কেন্দ্রটি একটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড পরিচালনা করবে। ওই কোম্পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবল নিয়োগ করছে। রাশান ফেডারেশনের সঙ্গে স্বাক্ষর করা সাধারণ চুক্তির অধীনে উক্ত জনবলের প্রশিক্ষণ চলছে।
 
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের প্রথম এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাংলাদেশের পারমাণমিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে অপারেশন শুরুর পর থেকে সুষ্ঠুভাবে যাতে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় সেজন্য রাশান ফেডারেশনের সহযোগিতা প্রয়োজন, সেজন্য কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। এই সংশোধী হলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইজিএ-এর আওতায় রাশান ফেডারেশনের সহযোগিতা নেওয়া সম্ভব হবে। যা এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
 
এসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সুরাইয়া আকতার জাহান বলেন, ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের পরে পাওয়ার প্ল্যান্ট কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হবে, সে বিষয়ে চুক্তিতে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা ছিল না। ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের পরে আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে অপারেশন চলাকালীন বিভিন্ন সহযোগিতা নেবো।
 
সুরাইয়া আকতার বলেন, অপারেশনাল পিরিয়ড বলতে যতদিন এই পাওয়ার প্ল্যান্ট সচল থাকে, এটা ৬০ বছর সচল থাকার কথা, পরবর্তীসময়ে এটাকে আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ১০০ বছরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
 
২০১১ সালের ২ নভেম্বর বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে চুক্তি সই হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।