সোমবার (০৯ মার্চ) দিনগত রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানায় লিখিত আকারে অভিযোগটি দিয়েছেন উর্মির বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান মৃধা।
আসামিদের মধ্যে ববির গণিত বিভাগের প্রভাষক সুজিত বালা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলীম সালেহীন, আরিফুল ইসলাম, আবদল্লাহ ফিরোজ, মো. হাফিজ ও আসাদুজ্জামানের নাম রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ০১ মার্চ বিকেলে ববির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল নওরিন উর্মির পরীক্ষার খাতা জোর করে টেনে নিয়ে যান এবং কক্ষ থেকে বের করে দেন শিক্ষক সুজিত বালা। এরপর উর্মি বের হবার পরপরই সিঁড়িতে ৮/১০ জন মুখোশধারী তার মাথায় আঘাত করে। জ্যামিতি বক্সের সুচালো কাটা দিয়ে বুকে-পিঠে এবং শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে খুঁচিয়ে জখম করে। এছাড়া ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে তলপেট, কোমড় ও উরুতে আঘাত করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় বাসায় ফিরে যান তিনি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ওইদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে ৪ মার্চ শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয় তাকে।
এ অবস্থার প্রতিকার এবং বিচার চেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, ০৯ মার্চ দিনগত এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, উর্মির ওপর হামলার অভিযোগ ওঠার পরে গত রোববার (০৮ মার্চ) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে একটি পক্ষ। যেখানে সাম্প্রতিক সময়ে ববির সহিংসতা ও শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিভিন্ন গুজব, অপপ্রচার এবং শিক্ষকদের নামে মিথ্যে অভিযোগের প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি মানববন্ধন থেকে সাম্প্রতিক সময়ে গণিত বিভাগের ওই ছাত্রীর ওপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ বাস্তবতা বিবর্জিত বলে দাবি করা হয়।
এছাড়াও উর্মির ওপর হামলার ঘটনায় তথ্য উদঘাটনে লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনুভা হাবিব জিসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
** ববি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ, দু’দিন পরে হাসপাতালে ভর্তি
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
এমএস/এসআরএস