সোমবার (০৯ মার্চ) রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক ক্লাবে কমনওয়েলথ ডে-২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের মধ্যে ৩২টি দেশই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের শিকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথ দেশগুলোকে সর্বজন স্বীকৃত করতে হলে বেসরকারি খাত ও সুশীল সমাজকে নিয়ে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি জোট গঠন করতে হবে। খাতভিত্তিক মহা পরিকল্পনা নেওয়ার মাধ্যমে গবেষণা করে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি বিনিময় করা যেতে পারে।
ড. একে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, আন্ত:কমনওয়েলথ দেশগুলোর বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজনেস টু বিজনেস পদ্ধতি চালু করেছেন। আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সড়ত, নৌ ও প্রযুক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রসার করে চলেছি। এজন্য কমনওয়েলথ দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়া হচ্ছে ২০১৫ সাল থেকে।
কমনওয়েলথ দেশগুলো সহিংসতা কমিয়ে আনতে কর্মসূচি পালন করতে পারে। শান্তি প্রতিষ্ঠার সংস্কৃতি চালু করা যেতে পারে। সংস্কৃতি বলতে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
সেমিনারে ডেলিভারিং এ কমন ফিউচার: কানেন্টিং, ইনোভেটিং অ্যান্ড ট্রান্সফরমিং শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য দেন কমনওয়েলথ সোসাইটি অফ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জে এম এনামুল ইসলাম।
কমনওয়েলথ সোসাইটি অফ বাংলাদেশের সভাপতি এম মোকাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনইত প্রিফনটেইন, মালদীপের হাইকমিশনার আয়েশা শাকিল, আফসার আমিন, তৌহিদ সামাদ ও নুরুল ফজল বুলবুল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
এসই/এসআরএস