পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা এসে দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। শুরু থেকে শিশুটির দেখভাল করছেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কাজী কামাল মিয়া।
সোমবার (০৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এই বিষয়ে কথা হয় কালীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কাজী কামাল মিয়ার সঙ্গে।
তিনি জানান, রোববার (০৮ মার্চ) গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার আজমতপুর এলাকায় রাস্তার পাশে পড়েছিল এই শিশুটি। তখন তার পরনে ছিল লাল সাদা গেঞ্জি ও সাদা পায়জামা। শিশুটি দেখতে অনেক সুন্দর। পুলিশ ধারণা করছে, কোনো মাদরাসায় পড়াশোনা করে সে। শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আর দেরি না করে স্থানীয় তাজউদ্দীন মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। পরে ৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, আগে শিশুটির জীবন বাঁচাতে হবে, পরে না হয় পরিচয় শনাক্ত করা যাবে। তবুও যতটুকু সম্ভব আশেপাশের লোকদের জিজ্ঞেস করা হয়। কিন্তু কেউ তাকে চিনতে পারেনি। এখন শিশুটি ঢাকা মেডিক্যালের নিউরোসার্জারির ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির মাথায় আঘাত আছে। আঘাতের ধরন দেখে মনে হচ্ছে ভারী কোনো জিনিস দিয়ে তাকে কেউ আঘাত করেছে। আঘাতের কারণে তার চোখ মুখ ফুলে গেছে। শিশুটির শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নাই।
জানা যায়, প্রথমে শিশুটিকে তাজউদ্দীন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত সিটি স্ক্যান করা হয়। সেটা দেখে চিকিৎসকরা জানান, তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অবস্থা খুবই খারাপ। তার মাথার হাড়ে ফ্র্যাকচার দেখা দিয়েছে। পরে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুটির মাথায় ফ্র্যাকচার আছে। তার চিকিৎসা চলছে। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অস্ত্রোপচার লাগবে কি-না।
পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কাজী কামাল মিয়া জানান, শিশুটির পরিবারের কাউকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ এ বিষয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
এজেডএস/এইচএডি/