মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তারা।
সেক্টরস কমান্ডার ফোরামের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব) কে এম শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন, সেক্টরস কমান্ডার ফোরামের কেন্দ্রীয় নারী নির্বাহী পরিষদের সভাপতি লায়লা হাসান, সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আলম, যুগ্মমহাসচিব শাহজাহান মৃধা বেনু, অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের দপ্তর সম্পাদক বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ইউজিস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতেই ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেক্টরস কমান্ডার ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অফ)।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পূর্ব বাংলার স্বার্থ কেন্দ্র করে যত ঘটনা ঘটেছে, যত আন্দোলন-সংগ্রাম, মিছিল-মিটিং হয়েছে, তার প্রত্যেকটির প্রধান চালকের ভূমিকায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যদিও তিনি ষাটের দশকের মধ্যবর্তী সময়ের আগ পর্যন্ত রাজনীতির দলীয় কাঠামোতে শীর্ষ পদে ছিলেন না।
বক্তারা বলেন, পূর্ব বাংলার অনন্য সিনিয়র নেতারা পাকিস্তানিদের সঙ্গে অনেক সময় আপস করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একমাত্র নেতা যিনি বাঙালির স্বার্থের প্রশ্নে একটিবারের জন্যও আপস করেননি। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকদের সমস্ত লোভনীয় প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাঙালির স্বার্থে।
কে এম শফিউল্লাহ বলেন, যার জন্য আমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছি, তিনি আর কেউ নন তিনি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে সরাসরি নির্দেশ না দিলেও, তার ৭ মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করতে সক্ষম হই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
আরকেআর/এফএম