মঙ্গলবার (১০ মার্চ) মামলাগুলো র্যাবের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গ্রেফতার পাপিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র, অর্থ পাচার ও মাদক আইনে পৃথকভাবে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি বাংলনিউজকে বলেন, পাপিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা তিন মামলার তদন্তভার পেয়েছে র্যাব। গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছ থেকে মামলাগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ পরপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের অনুমতিক্রমে পাপিয়াকে র্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় পাপিয়া ওরফে পিউসহ (২৮) চারজনকে আটক করে র্যাব-১।
এ দিন র্যাব জানিয়েছিল, রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে সবসময় বুকড করে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন পাপিয়া। এমনকি তিনি হোটেলটির বারে বিলবাবদ প্রতিদিন পরিশোধ করতেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
পাপিয়ার বার্ষিক আয় ১৯ লাখ টাকা। অথচ শুধু হোটেল ওয়েস্টিনে গত তিন মাসেই বিল পরিশোধ করেছেন প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা।
তিনি নারী সংক্রান্ত অপকর্ম ছাড়াও অস্ত্র, মাদক বিক্রি, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।
এরপর পাপিয়াসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথকভাবে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
এসব মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ডে পাপিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসছিল ঢাকা মেট্রোপলিটনের গোয়েন্দা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
পিএম/টিএ