গত শনিবার (০৭ মার্চ) বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে সর্বশেষ দল বেধে হুমকি দেয় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান সৈকত, বেলাল ও রুবেল ওরফে কালা রুবেল। ওই দিনের পর থেকেই বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয় ওই ছাত্রী।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাইদ আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি দল। বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জবানবন্দিতে প্রাথমিকভাবে বখাটেদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি কঠোরভাবে দেখবেন বলে জানান ওসি সাইদ। এসময় সেখানে গিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে না পেয়ে তার বাড়িতে যান পুলিশে এই কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, কিশোর গ্যাং সৈকতের অনুসারী বেলাল, সাকিব, আসাদ, আমিনুল, রাজু, রুবেল, তুহিন ওরফে রনি, ইব্রাহিমসহ তাদের অনুসারীদের কারণে তারা স্কুলে আসতে ভয় পায়। প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে ঢুকে সুন্দরী মেয়ে দেখলেই প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে সাড়া না দিলে বখাটেরা ইভটিজিং করে এবং অশালীন কথাবার্তা বলে।
এর আগে, কয়েকজন ছাত্রীদের ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় কাইফি ও ইমন নামে দুই ছাত্রকে মারধর করে। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ করে মিলিয়ে দেওয়া হয়। পরে মারধর করে তাদের হাত কেটে ফেলারও হুমকি দেয়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল বাংলানিউজকে জানান, কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে সৈকত, রুবেল ওরফে কালা রুবেলসহ একাধিক বখাটে। তারা স্থানীয় হওয়ার কারণে ফুল দিয়েও তাদের বোঝাতে চেষ্টা করি। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কিছুক্ষণ পরেই ওরা আবারো আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার করে এবং গত শনিবার এক ছাত্রীকে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেয়। যে কারণে ওই ছাত্রী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
এনটি