ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অভিবাসী শ্রমিকদের সংগঠিত করলে নিরাপদ অভিবাসন সম্ভব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
অভিবাসী শ্রমিকদের সংগঠিত করলে নিরাপদ অভিবাসন সম্ভব

ঢাকা: অভিবাসী শ্রমিকদের সংগঠিত করতে পারলেই নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, অভিবাসী শ্রমিকদের বেশিরভাগই নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানেন না। তারা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বঞ্চিত হচ্ছেন নিজেদের অধিকার থেকে। এজন্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে বিল্সের উদ্যোগে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় 'অভিবাসন বিষয়ক নীতি-দলিলাদির একটি পর্যালেচনা: প্রেক্ষিত শ্রমিক অধিকার, মানবিক অধিকার এবং নারী অধিকার' শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন ও আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

বিল্স উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের সভাপতিত্বে এবং বিল্স যুগ্ম মহাসচিব ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিল্স মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ এর যুগ্ম সমন্বয়কারী নইমুল আহসান জুয়েল, আইএলও’র চিপ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার লাতেশিয়া উইবেল রবার্টস, ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা আবুল হোসাইন, বিল্সের নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ, শাকিল আখতার চৌধুরী, উম্মে হাসান ঝলমল, পুলক রঞ্জণ ধর, ব্লাস্টের উপ-পরিচালক অ্যাডভোকেট বরকত আলী, সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিল্সের উপ-পরিচালক (গবেষণা) মো. মনিরুল ইসলাম।

তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ নারী-পুরুষ কাজের উদ্দেশে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। একেকজন শ্রমিক ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেও ন্যূনতম মজুরি পান না। তার ওপর শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন তো রয়েছেই।

অভিবাসী শ্রমিকরা নির্যাতিত হয়ে ফিরে আসার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বক্তারা যেসব দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন, সেসব দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি আলাদা সেল স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

বক্তারা দেশে অভিবাসী বিষয়ক যে আইন আছে, তার বাস্তবায়ন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে আইনের আওতায় আনা, বিদ্যমান আইন সংশোধন, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, অভিবাসী শ্রমিকদের সম্মানজনক কাজ এবং মজুরি নিশ্চিত করা, নারী শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া, যেসব দেশে নারী শ্রমিক যাচ্ছে, সেসব দেশের আইনকানুন সম্পর্কে অবহিত করারও দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।