শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক, অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম জানান, সৈয়দা ফাহিমা বেগমের পাঁচ ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তার বিচ্ছিন্ন হাতটি জোড়া লাগানো হয়েছে এবং শিরা-উপশিরা সংযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে দুর্ঘটনায় সৈয়দা ফাহিমা বেগমের (৪৮) হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই তাকে গোপালগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকেলে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ফাহিমা বেগমকে আনার পরই চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারকক্ষে নিয়ে যান।
বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, দুর্ঘটনায় শিক্ষক ফাহিমা বেগমের বাম হাত কনুইয়ের নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হাতটিসহ তাকে এখানে আনা হয়েছে। তার অপর হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। তার হাতটি জোড়া লাগানোর পর তার অন্যন্য ইনজুরির জন্য চিকিৎসা চলবে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতর স্বামী পুলিশের সিনিয়র এএসপি (এসবি) সৈয়দ শফিকুল ইসলাম। তাদের বাসা ১৫/১৭ শান্তিনগর। ফাহিমা বেগম দুই সন্তানের জননী।
ফাহিমার স্বামী সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জানান, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ফাহিমা বেগম। কলেজ শাখার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শিক্ষাসফরে যাচ্ছিলেন।
পথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ফাহিমার বাম হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি জানান, পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় এই শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
এমএইচএম