সংগঠনটির দক্ষিণ এশীয় ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মদি এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবজমিন সম্পাদক ও অন্য ৩১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পরবর্তী সময়ে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় এজেন্সিগুলো এবং প্রভাবশালী মহল জনগণের বিরুদ্ধে কিভাবে খেয়াল খুশি মতো এ আইনটি প্রয়োগ করছে, তার একটি নজির এটি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভেতরে অস্পষ্ট এবং অত্যধিক বিস্তৃত যে বিধানগুলো আছে এবং যে কঠোর শাস্তির বিধান আছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এসব মত প্রকাশের স্বাধীনতার বৈধ অধিকারকে সীমাবদ্ধ করে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই মানহানির বিষয়টিকে অপরাধের আওতামুক্ত করতে ও আইনের পর্যালোচনা করতে হবে, যাতে তা ইন্টারন্যাশনাল কোভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসসহ মানবাধিকারের আন্তজর্জাতিক আইন অনুসরণ করে চলে। ইন্টারন্যাশনাল কোভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের সইকারী দেশ বাংলাদেশও।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এই আইনটি পাস করে।
তখন থেকে প্রথম ১১ মাসে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সাইবার ক্রাইমস ট্রাইবুনালে মামলা হয়েছে প্রায় ৪শটি। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে কমপক্ষে ২শ মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি জরুরিভিত্তিতে রিভাইজ দিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার। এতে এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের আইনের সঙ্গে সঙ্গতি নিশ্চিত করে। এছাড়া খেয়ালখুশি মতো গ্রেফতার, আটক ও মতামত প্রকাশের বৈধ স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করে এমন অন্য বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে তা ভারসাম্য রক্ষা করে।
২০১৮ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘মাজলিং ডিসেন্ট অনলাইন’ বা অনলাইনে ভিন্ন মতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন শাখার ওপর জোর দেওয়া হয়। যেগুলো ইন্টারন্যাশনাল কোভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের মতো আন্তর্জাতিক আইন ও মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এতে বাংলাদেশের প্রতি আইনটি সংশোধন করার অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এএটি