ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে থাকবেন মোদী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে থাকবেন মোদী

দিল্লি থেকে: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনায় আসেছ ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সীমিত করায় ঢাকায় আসছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বিদেশি অতিথিরা। 

তবে ওইদিন গণভবনে ছোটপরিসরে আয়োজিত মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন মোদী।  

বুধবার (১১ মার্চ) হায়দরাবাদ হাউজে ভারত সফররত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা একথা জানান।

 

সফররত সাংবাদিকরাতিনি বলেন, ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুজিববর্ষ উপলক্ষে তিনি একটি ভিডিওবার্তাও দেবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির স্মারক হিসেবে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারত আরও একশটি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশকে উপহার দেওয়ার কথাও জানান শ্রিংলা।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, এটি (অ্যাম্বুলেন্স উপহার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য একটি উপহার, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদী পরে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।

‘এটি একটি মানুষকেন্দ্রীক ধারণা, যা মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ ও সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। ’ 

দুটি গুরুত্বপূর্ণ বছরকে সামনে রেখে উভয়ের বৃহত্তর স্বার্থ ও সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি। একই সঙ্গে ২০২১ সালে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনেরও সুবর্ণজয়ন্তী।

এ অবস্থায় এই দুই ঐতিহাসিক বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে উভয় দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক মিথস্ক্রিয়া জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।  ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বাত্মক সহঙেযাগিতা দেয় ভারত।  

বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে নির্ধারিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে সরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি বিবেচনা করে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। পরে তা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে অন্যান্য কর্মসূচিগুলোও পর্যায়ক্রমে উদযাপিত হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি।  গত ৮ মার্চ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানার উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কর্মসূচি পুনর্নির্ধারণের পর ১৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের স্থগিতাদেশের বিষয়টি সোমবার (০৯ মার্চ) নিশ্চিত করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে দেশটির সরকার। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভীশ কুমার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে আপাতত স্থগিত। অনুষ্ঠানটি আবার কবে হবে সেটি শিগগিরই জানানো হবে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে করোনা ভাইরাসের বিস্তার মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ভারত প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
টিসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।