বুধবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা শাখা থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কে.বি.আই রোডের পাশে দাঁড়িয়ে তানভীর ইসলাম নামে এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরে সুমাইয়া আক্তার সুমা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন হাওলাদার বলেন, তানভীর ইসলাম বাবুল, আনন্দ বণিক, হাসান মির্জা তানভির, পূর্নিমা, রিপা আক্তার এবং তানজিলা আক্তার নামে ছয় জনকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে সর্বমোট এক লাখ ৪২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন আটক সুমাইয়া। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সুমাইয়া বলেন, বেগম রোকেয়া হলের কর্মচারী মো. হেলালের প্ররোচণায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী পদে চাকরি দেওয়ার নামে ওই টাকা নিয়েছিলেন। এর মধ্যে এক লাখ টাকা কর্মচারী হেলালকে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
হেলাল বলেন, হলে কর্মচারীর কোনো চাকরি আছে কিনা জানতে সুমাইয়া কিছুদিন আগে আমার কাছে এসেছিলেন। কিন্তু নিয়োগের বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। চাকরি দেওয়ার নামে আমি তার কাছে কোনো টাকা নেয়নি। সে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, এ ঘটনায় হেলালের সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটি তদন্ত করা হবে। ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
আরএ