চক্রের সদস্যরা গ্রাহকদের ফোন করে বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলতেন অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিংক পাঠাতেন। গ্রাহকরা সেই কোড ডায়াল করলে বা লিংকে ক্লিক করলেই গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে টাকা নিয়ে নিতেন তারা।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলীতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দিনগত রাতে মিরপুর-১ এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারক চক্রের মূলহোতা মো. সোহেল আহম্মেদকে (৩৬) আটক করেছে র্যাব সদস্যরা। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিমকার্ড, মাল্টি সিম গেটওয়ে ডিভাইস, একটি ল্যাপটপ, একটি সিগন্যাল বুস্টার, তিনটি মডেম ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক সোহেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, সোহেল ২০১৭ সাল থেকে এ প্রতারণার কাজে জড়িত। প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এখন পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ চক্রে আরও ৪/৫ জনের নাম জানা গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এখনই বলা যাবে না। আমরা অতি শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।
চক্রটির প্রতারণার ধরন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো গ্রাহক যদি মোটা অংকের টাকা লেনদেন করতো, তাহলে সেই নম্বর ও তথ্য এজেন্টরা চক্রটিকে জানিয়ে দিতো। তখন তারা মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নম্বর ক্লোন করে সেন্ডার বা রিসিভারকে কল দিয়ে বলতো- আমি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অফিস থেকে বলছি, আপনি যেই টাকা পাঠিয়েছেন বা এসেছে, সেই টাকা ভুল নম্বরে চলে গিয়েছে।
এমন সব ভুয়া কৌশল অবলম্বন করে গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলতেন অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিংক পাঠাতেন। গ্রাহকরা সেই কোড বা লিংকে ক্লিক করলেই প্রতারক চক্রটি গ্রাহকের টাকা নিয়ে নিতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
পিএম/ওএইচ/