আইনটিতে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কোনো কাজে যদি কেউ বাধা দেন বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, অথবা কেউ যদি তাদের নির্দেশ না মানেন, তাহলে সেটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এই অপরাধের শাস্তি তিন মাসের জেল, বা অনূর্ধ্ব ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
অন্যদিকে, সঠিক তথ্য থাকার পরও যদি কেউ সেটি গোপন করেন বা ইচ্ছা করে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দেন- সেটিও অপরাধের মধ্যে পড়বে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির দুই মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যারা বিদেশ থেকে আসছেন, তারা অন্তত ১৪ দিন নিজের ঘরে থাকুন। আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখছি, তারা কোয়ারেইন্টাইনে থাকছেন না। অনুরোধ করেছি এতদিন। কিন্তু সরকারের সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ তারা মানছেন না। তাই এবার সংক্রামক ব্যাধি আইন প্রয়োগ করতে পারি।
এছাড়া 'সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮' প্রয়োগের ঘোষণা দিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এই গণবিজ্ঞপ্তি জারির কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, বিদেশ থেকে আসা অনেক প্রবাসী এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা কোয়ারেন্টিনের শর্ত ঠিকভাবে পালন করছেন না এবং তারা অনেকের সংস্পর্শেও যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আবার অনেক ক্ষেত্রে অনেকে মিথ্যা ও গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন বলেও জানাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আরও পড়ুন>> বিদেশফেরতরা ১৪ দিন ঘরে না থাকলে আইনি ব্যবস্থা: ফ্লোরা
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
টিএ