শুক্রবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান জানান, শুক্রবার বহুলী ইউনিয়নের ধীতপুর কানু গ্রামে আবু সামা শেখের মেয়ে জান্নাতি খাতুনের (১৪) বিয়ের আয়োজন চলছিল।
এরপর সন্ধ্যায় কাদাই গ্রামে ছানোয়ার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের (১৩) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।
সন্ধ্যার পরে বাগবাটি দক্ষিণ পাড়ার আবু হানিফের মেয়ে সুবর্ণা খাতুনের (১৬) সঙ্গে ব্রাহ্মণগাঁতী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আজিজল হকের বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। এ সময় কাজী রেজাউল করিমকে ৫০ হাজার, বর আজিজল হককে ৫ হাজার ও কনের ভগ্নিপতি খোকন মিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাতে শিয়ালকোল ইউনিয়নের শিবনাথপুর গ্রামের আকতার হোসেনের মেয়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী আতিয়া খাতুনের (১৪) সঙ্গে খামার পাইকোশা গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে ইউসুফ আলীর (২৫) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। এ সময় বর-কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এরপর বাগবাটি ইউনিয়নের কানগাঁতী গ্রামের হাফিজুলের মেয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী নুপুর (১৫) ও নান্দিনা গ্রামের আকবর আলীর ছেলে ইমরানের (২৩) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয় এবং বর ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সবশেষে বাগবাটি ইউনিয়নের মালিগাঁতী এলাকায় ছানোয়ার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে লিমা খাতুনের (১২) বাল্যবিয়ে বন্ধ ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মো. আনিসুর রহমান আরও বলেন, প্রত্যেক অভিযানে মেয়েকে ১৮ বছরের নীচে বিয়ে দেবেন না মর্মে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে৷
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
আরএ