ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

লক্ষ্মীপুর-রামগতি মহাসড়কে সক্রিয় অজ্ঞান পার্টি সদস্যরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
লক্ষ্মীপুর-রামগতি মহাসড়কে সক্রিয় অজ্ঞান পার্টি সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহীদ। ছবি: বাংলানিউজ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক মহাসড়কে হঠাৎ যাত্রীবাহী বাসে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে সাধারণ মানুষ।

গত দেড় বছর আগে সড়কটিতে চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে খোরশেদ আলম নামে এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক রব পত্রিকার সম্পাদক এম এ শহীদ।

জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তিনি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে অজ্ঞান পার্টি চক্রের সদস্যরা যাত্রীবাহী বাসে কৌশলে চা, কফি, বিস্কুট, ডাবের পানি, কোমল পানীয়, ফল ও পানের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে যাত্রীদের খাওয়াচ্ছেন। এমনকি অজ্ঞান পার্টি চক্রের সদস্যরা যাত্রীর সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করে তারা এ কাজটি করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীবাহী বাসে ওই চক্রের সদস্যরা স্বল্পমূল্যের চর্মরোগ, অ্যাজমা ও বাতের ব্যথা এবং ভিটামিন ওষুধ বিক্রির কথা বলে এগুলো খাওয়ান।
 
পুলিশ জানায়, গত ১২ মার্চ দুপুরে লক্ষ্মীপুর ঝুমুর এলাকা থেকে সাংবাদিক শহীদ যাত্রীবাহী লোকাল বাস মিশু পরিবহনে উঠেন। রামগতির আলেকজান্ডার যাওয়ার পথে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাকে কৌশলে অজ্ঞান করে সব হাতিয়ে নেন। পরে আলেকজান্ডার বাসস্ট্যান্ড থেকে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর রাতে ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার বাসিন্দা খোরশেদ আলাম নামের ওই বৃদ্ধ চট্টগ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতিগামী বাসে উঠেন। পথে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাকে খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে দেন। এতে তিনি বাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরদিন সকালে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে যাত্রীবাহী বাসে কৌশলে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খাওয়ান। তার আগে অজ্ঞান পার্টি টার্গেট ব্যক্তির আস্থা অর্জনের জন্য কৌশলে ওই খাবার নিজেদের সদস্যদের খাওয়ান। টার্গেট ব্যক্তি খাবার গ্রহণের পর অচেতন হয়ে পড়লে তার সঙ্গে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন। সাংবাদিক শহীদের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে ছিল।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান বাংলানিউজকে বলেন, অজ্ঞান পার্টির বিষয়টি অধিক গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।  

সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ওসি আরও বলেন, যাত্রাপথে অপরিচিত মানুষের দেওয়া খাবার বা পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। সতর্কতা ও সচেতনতাই মানুষকে নিরাপত্তা দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
এসআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।