রোববার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ রেল ও বাস কর্তৃপক্ষ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কলকাতা-বেনাপোল-খুলনা রেল রুটে সপ্তাহে দু’দিন বন্ধন এক্সপ্রেস এবং সড়ক পথে কলকাতা-বেনাপোল-ঢাকা রুটে শ্যামলী এসপি; কলকাতা-বেনাপোল-খুলনা রুটে গ্রিনলাইনের সোহার্দ্য বাস এবং কলকাতা-বেনাপোল-আগরতলা রুটে শ্যামলী এনআর বাস সপ্তাহে ছয়দিন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতো।
শ্যামলী এনআর পরিবহনের সহকারী ম্যানেজার আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে জানান, ১৪ মার্চ (শনিবার) দুপুরে ভারত থেকে যাত্রী নিয়ে ফেরার সময় করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কথা বলে ভারতীয় ইমিগ্রেশন ১৫ মার্চ থেকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে বাস চলাচল নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধ অমান্য করে কোনোভাবে ভারতে প্রবেশ করলে পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন।
বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বন্ধন এক্সপ্রেস ১৫ মার্চ থেকে খুলনা-কলকাতা রুটে এক মাসের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে এ পথে রেল ওয়াগানে পণ্য পরিবহন আপাতত স্বাভাবিক থাকবে।
বাংলাদেশি যাত্রীরা জানান, বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভয়ঙ্করভাবে করোনায় আক্রান্ত না হলেও ভারত সরকার তার দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং দু’দেশের মধ্যে চলাচলরত ট্রেন, বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ায় বিশেষ করে চিকিৎসা সেবিরা বিভিন্নভাবে সমস্যায় পড়বেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণে প্রতিদিন দু’দেশের মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীদের কাছ থেকে বছরে ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের আয় হয় প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত ১৩ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে ভারতীয় ভিসায় ভ্রমণ এক মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। আর ১৫ মার্চ থেকে বন্ধ করেছে দু’দেশের মধ্যে বাস ও ট্রেনে যাত্রী পরিবহন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এসআরএস