প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৬ মার্চ) তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে জানান, ১৯৮৩ সালের একটি অধ্যাদেশের আলোকে জাতীয় আর্কাইভস চলছিল, আদালতের নির্দেশে ওই অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে।
তিনি জানান, একজন পরিচালক এ আর্কাইভসের প্রধানের দায়িত্বে থাকলেও প্রস্তাবিত আইনে একজন মহাপরিচালকের পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। এছাড়া একটি পরিচালনা পর্যদও সেখানে থাকবে।
আইনে গবেষণা ও তথ্য গ্রহণের বিষয়টিও নতুন যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ আইন প্রণীত হলে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মূল উপাত্ত, সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন দলিল দস্তাবেজ, গেজেট, গেজেটিয়ার, নকশা, আলোকচিত্র, অডিও-ভিজুয়ালসামগ্রী, সাংস্কৃতিক গুণসম্পন্ন মূল্যবান পাণ্ডুলিপি, মানচিত্র, পত্রিকা, চিঠি, প্রতিবেদন, নিবন্ধন, গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসহ নথিপত্র সংরক্ষণ করা যাবে।
যেকোনো রেকর্ড মহাপরিচালক যদি যৌক্তিক মনে করেন ধ্বংস করে ফেলতে পারবেন বলে খসড়ায় প্রস্তাবনা থাকলেও মন্ত্রিসভা তাতে অনুমোদন দেয়নি।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা বলেছে, এটা মহাপরিচালকের ক্ষমতায় থাকবে না। কারণ এদের কাজ হলো আর্কাইভ করা। সুতরাং তার কাছে এ ক্ষমতা থাকা যাবে না।
কোনো ব্যক্তি যদি আর্কাইভসে রক্ষিত কোনো রেকর্ড, নথিপত্র, পত্রিকা, মানচিত্র, পাণ্ডুলিপি বা দলিল দস্তাবেজ বিকৃত করে তবে তাকে তিন বছর পর্যন্ত জেল দেওয়া হবে বলে আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/আরবি/