বিষয়টি জানতে সোমবার (১৬ মার্চ) বিকেলে কথা হয় মিরপুর বিভাগ দারুসালাম জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মাহমুদা আফরোজ লাকীর সঙ্গে।
এডিসি মাহমুদা আফরোজ লাকী বাংলানিউজকে বলেন, উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম ওসমান, বয়স (১৮ মাস)।
তিনি বলেন, শিশুটিকে অপহরণের পর থেকে দারুসসালাম থানা পুলিশকে নিয়ে উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা করতে থাকি। একপর্যায়ে সফল হই।
উদ্ধারের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ৮ মার্চ শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এসময় শিশুটির মা আসমা বেগম অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। অপহরণের একদিন পর ৯ মার্চ তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বিষয়টি শুনে উদ্ধার তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়। একপর্যায়ে শিশুটির পরিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে আমরা এগোতে থাকি। তদন্তে নেমে আমরা জানতে পারি শিশুটিকে নিয়ে অপহরণকারীরা ফরিদপুরে সদরে অবস্থান করছে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের একটি টিম সেখানে ছুটে যায়। এরপর বোরবার দুপুরে ফরিদপুর সদরে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এসময় পলি খাতুন লতা (২০), সুজন ওরফে ফরিদ (৩৫) ও আনোয়ার (২৪) নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই শিশুটির প্রতিবেশী এবং পরিচিত।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে লতা প্রায় সময়ের শিশুটির বাসায় আসা-যাওয়া করতেন এবং শিশুটিকে খুবই আদর করতেন। কারণ তার টার্গেট ছিলো শিশুটিকে অপহরণ করা। তাই তিনি বিভিন্ন সময় শিশুটিকে আদর করে তার বাবা-মায়ের কাছে বিশ্বস্ত হতে চেয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি সফলও হয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লতা জানিয়েছেন ৮ মার্চ সকাল ১০টায় শিশুটিকে অপহরণ করে গ্রেফতার আনোয়ারের কাছে বিক্রির জন্য ফরিদপুরে নিয়ে যান। যশোরে একজনের কাছে শিশুটিকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করার কথা ছিলো আনোয়ারের।
ভাবতে সত্যিই ভালো লাগছে। শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি এবং তার বাবা-মায়ের কোলে ফেরত দিতে পেয়েছি-যোগ করেন এডিসি।
গ্রেফতারদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
ওএইচ/