সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য তোরণ।
>>>মুজিববর্ষ ঘিরে অর্থায়ন-লেনদেনে স্বচ্ছতা চায় টিআইবি
রাষ্ট্রীয় এ কর্মসূচিতে আগত সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত গোপালগঞ্জ। পুরো জেলাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায়ও থাকছে নানা আয়োজন।
দর্শণার্থীরা জানান, আগে কখনো টুঙ্গিপাড়ায় এমন বর্ণিল সাজসজ্জা দেখেননি তারা। এমন আয়োজনে মুগ্ধ গোপালগঞ্জসহ আশপাশের জেলার মানুষ। প্রতি বছর জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে এমন দৃষ্টিনন্দন আয়োজন দেখা চান বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন দর্শণার্থীরা।
জাতির পিতার সমাধি সৌধের দায়িত্বে থাকা গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স বর্ণিল সাজে সাজিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে প্রতিটি স্থানে শোভাবর্ধনের কাজ করা হয়েছে। পুরো সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে রংকরণ করা হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য জেনারেটরসহ পুরো কমপ্লেক্সে বৈদ্যুতিক লাইন পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। ফুল বাগানগুলোতে নতুন নতুন ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। সর্বশেষ পুরো সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু ভবন, লাইব্রেরি ভবন, মসজিদ, এমপি থিয়েটার, বাউন্ডারি, গেট, সমাধি সৌধের ভেতর ও বাহিরের গাছপালা বর্ণিল আলো সাজানো হয়েছে। যা মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্থানীয়রা ও আগত দর্শণার্থীরা উপভোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এনটি