ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আলো ঝলমলে রূপসা সেতু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
আলো ঝলমলে রূপসা সেতু

খুলনা: ঝলমলে রোদ আর বসন্তের বাতাস মাখা দিনের সৌন্দর্য পেরিয়ে এসে সন্ধ্যার পর আলোকসজ্জায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেল সেতুটির সৌন্দর্য। শরীরে রঙিন আলো মেখে সেতুটি রাতের আঁধারে ধারণ করল অন্যরকম এক মাদকতা। সেই মাদকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রূপসী রূপসার ঢেউগুলো যখন পাড়ে আছড়ে পড়লো আলোর ঝলকানি মেখে, তখন সেই ঢেউয়ের শব্দে মাতোয়ারা হলো গোটা নগরী।

সোমবার (১৬ মার্চ) রাতে এমন মনোমুগ্ধকর আলো ঝলমলে দৃশ্য দেখা যায় খুলনার খানজাহান আলী (র.) সেতু বা রূপসা সেতুতে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সেতুর টোল কর্তৃপক্ষ এমন আয়োজন করেছে।

একইসঙ্গে টোল প্লাজায় ড্রপ ডাউন ব্যানার লাগানো হয়েছে। সেতু এলাকার বিভিন্ন পিলারে সাজানো হয়েছে মুজিববর্ষের ব্যানার ও ফেস্টুন।

সন্ধ্যার পর থেকে সোডিয়াম বাতির সাদা আলোর সঙ্গে আলোকসজ্জার নানা ধরনের রঙিন আলোর রোশনাইয়ে জ্বলজ্বল করছে চারপাশ। যেন মোহনীয় এক পরিবেশ আচ্ছন্ন করে রেখেছে গোটা সেতু অঞ্চলটি। অনেককে চলার পথে গাড়ি থামিয়ে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে ছবি ও সেলফিও তুলতে দেখা গেছে সেতুটির পাশে। আবার কেউ কেউ ভিডিও কলের মাধ্যেমে অন্যকে দেখানো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভও দিয়েছেন। আর এমন সৌন্দর্যের মধ্য দিয়েই যাতায়াত করছে সব যানবাহন।

রূপসা সেতু।  ছবি: বাংলানিউজ

মো. ইসলাম নামে এক দর্শণার্থী বাংলানিউজকে বলেন, চলার পথে রূপসা সেতুর এমন আলোকসজ্জা দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম। এতোদিনের দেখা সেতুটির সৌন্দর্য যেন আজ বহুগুণে বেড়ে গেছে। সেতু দেখে খুব ভালো লাগছে। তাই স্মৃতি ধরে রাখতে ছবিও তুললাম।  

রূপসা সেতুতে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান ইউডিসি-জিআইইটিসি জেভী-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহফুজ পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রূপসা সেতুতে এমন বর্ণিল আলোকসজ্জার আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনই তো রূপসা সেতুতে আলো জ্বলে। কিন্তু বিশেষ এ দিনটি উপলক্ষে জমকালো এ আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধনে সেতুসহ সমগ্র এলাকা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। এছাড়া আলোকসজ্জার জন্য  
স্ট্রিপ লাইট, ফ্লাশিং এলইডি এবং টুনি এলইডি বাতিও লাগানো হয়েছে।

খুলনা শহরের রূপসা থেকে ব্রিজের দূরত্ব চার দশমিক ৮০ কিলোমিটার। এই সেতুকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার বলা যায়। কেননা সেতুটি খুলনার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর, বিশেষত মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। সেতুটিতে পথচারী ও অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য বিশেষ লেন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এমআরএম/এইচএমএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।