তিনিই আমাদের জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জীবন-যৌবনের ত্যাগ বাঙ্গালি জাতিকে শোষন থেকে চিরতরে মুক্তি দিয়েছে।
বাঙ্গালির মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী শুরু হয়েছে মঙ্গলবারের (১৭ মার্চ) প্রথম প্রহরে। দিনটি থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালনের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।
এই মাহেন্দ্রক্ষণকে বরণ করতে সিলেটের প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে। তবে করোনায় বিশ্ব বিপর্যয়ের কারণে অনেক কর্মসূচি কাটছাট করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
সিলেটেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুজিববর্ষ উদযাপনে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিভিন্ন সংস্থা বা সংগঠন। অনেকে উদযাপনও শুরু করেছে। এসব আয়োজনের অন্যতম হচ্ছে আলোকসজ্জা। প্রতিটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জার কাজ করেছে। করোনা আতংক বুকে নিয়েও চলতি পথে এমন সাজসজ্জা দারুণ উপভোগ করছেন নগরবাসী।
এদিকে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাড়তি সংযোজন, আবেগ ও ঐতিহ্যের রঙ লাল-সবুজ। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে মিলিয়ে লাল-সবুজ বাতি। এতে সেতুর পরিবেশটা রীতিমতো মোহনীয় হয়ে উঠেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক, গণপূর্ত ভবন, সিলেট জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, আদালতপাড়া, সার্কিট হাউস, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সার্কিট হাউজ, ক্বিনব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, নাগরী চত্বর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বিটিসিএল কার্যালয়, পুলিশ লাইনস, মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও লাল-সবুজের আলোর ঝিলিক সড়কের মাঝখানে আইল্যাণ্ডে। এ যেনো শত বছর পরও ফেরি আসছেন স্বাধীনতার মহানায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এনইউ/এনটি