এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারস ড. শাহিদা আকতার।
পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারস ড. শাহিদা আকতারের নেতৃত্বে দূতাবসের কর্মকর্তা-কর্মচারী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারস ড. শাহিদা আকতার তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন সম্পর্কে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তির দূত। দেশে-বিদেশে যে যেখানেই আছেন, তিনি সবাইকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
পরে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা হয়। জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়া জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের উদ্দেশে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
চলমান (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতা হিসেবে এ বছর অনুষ্ঠানটিতে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণসহ এর আগে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি সীমিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
টিআর/আরবি/