ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঘরে ঘরে মুজিবের আদর্শের দুর্গ গড়বো: শেখ রেহানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
ঘরে ঘরে মুজিবের আদর্শের দুর্গ গড়বো: শেখ রেহানা

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার আদর্শের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করে তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা বলেছেন, ঘরে ঘরে মুজিবের আদর্শের দুর্গ তৈরি করে তার আলো ছড়িয়ে দেবো।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাতে জাতির পিতা জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তি উপলক্ষে ঘোষিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
 
ভাষণটি জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মিত ‘মুক্তির মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে সম্প্রচার করা হয়।


 
বছরব্যাপী মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস বিপর্যয়ের কারণে তা বাতিল করা হয় এবং মুক্তির মহানায়ক অনুষ্ঠান নির্মাণ করে তা সম্প্রচার করা হয়।
 
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির মাধ্যমে মুক্তির মহানায়ক অনুষ্ঠানটির শুরু হয়। এরপর শত শিশু-কিশোরের কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা। জাতীয় সঙ্গীতের পর সম্প্রচার করা হয় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণ।
 
বঙ্গবন্ধু ছোট মেয়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা বলেন, সুন্দর, সমৃদ্ধ, দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও নিরক্ষরতামুক্ত দেশ গড়বো। সোনার বাংলাকে ভালবাসবো। পরশ্রীকাতরতা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখবো। ঘরে ঘরে মুজিবের আদর্শের দুর্গ তৈরি করে তার আলো ছড়িয়ে দেবো। কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ রেহানা বলেন, এই দিনে আমরা সবাই মিলে অঙ্গীকার করি- আমাদের যা কিছু আছে, তাই দিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবো।  
 
বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান)। লোভ-লালসা ভোগ-বিলাস থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন, করেননি আপস। মানব কল্যাণই ছিল তার ধ্যান-ধারণা, বিশ্বাসে-নিঃশ্বাসে।
 
শেখ রেহানা বলেন, বাবা বলতেন, ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। একটা মানুষ দেশের জন্য, মানুষের জন্য কতখানি ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন, তা আমরা খুঁজে পাই তারই লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে।  
 
মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরে শেখ রেহানা বলেন, এমন মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আসেন। আসলেও তারা ক্ষণস্থায়ী হন। আমার বাবা আমাদের মাঝে নেই। তিনি আছেন কোটি মানুষের হৃদয় জুড়ে।  
 
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের বাইরে থাকায় সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।
 
শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা-মা ও সহধর্মণীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শেখ রেহানা বলেন, এই দিনে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি মুজিবের রত্নগর্ভা মা শেখ সায়রা খাতুন এবং বাবা শেখ লুৎফর রহমানকে। আরও স্মরণ করি চিরদিনের সুখে-দুঃখে মরণের সাথী তার প্রিয় ‘রেণু’-কে।
 
 বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।