মূল সেতুর প্রকৌশলী জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার (১৬ মার্চ) রাত ১২টার দিকে ২৭ নম্বর পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ৪২টি পিলরের মধ্যে ৪১টি পিলারের কাজ শতভাগ শেষ।
মূল সেতুর প্রকৌশলী আরও জানান, ৩১ মার্চ ২৭তম স্প্যান বসবে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের উপর। এই স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৪ হাজার ৫০ মিটার।
জানা যায়, পদ্মাসেতুর পিলারের কাজ শুরুর দিকে তলদেশে স্বাভাবিক যে মাটি পাওয়ার কথা, সেটি মেলেনি। সেতুর পাইলিং কাজ শুরু হলে বিষয়টি টের পান প্রকৌশলীরা। এ জন্য আটকে গিয়েছিল ২২টি পিলারের কাজ। সেসময় ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ পদ্ধতিতেই বসানো হয়ছে পদ্মাসেতুর বেশকিছু পিলার। এমন পদ্ধতির প্রয়োগ বাংলাদেশে এই প্রথম। গোটা বিশ্বেও এই পদ্ধতি প্রয়োগের নজির খুব একটা নেই।
জানা যায়, সেতুর ৫, ৬, ৭, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১,৪২ নম্বর পিলারে বসেছে ২৫টি স্প্যান। স্প্যান বসানো বাকি পিলারগুলো হলো-১, ২, ৩, ৪, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ২০, ২৬, ২৭ নম্বর। রেলওয়ে স্ল্যাব বসেছে ৮০২টি ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসেছে ৩৬৪টি।
পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
আরএ