ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আঁধার কেটে গেলো আলোর রোশনাইয়ে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
আঁধার কেটে গেলো আলোর রোশনাইয়ে

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে: অন্ধকার রাতের আকাশ। হঠাৎ-ই আলোর রোশনাইয়ে কেটে গেলো সে অন্ধকার। লাল-সবুজ-নীল-হলুদসহ হরেক রঙের বাহারে ছেয়ে গেলো আকাশ! 

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাত ৮টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বর্ণিল আতশবাজির সমারোহে রাতকে আলোয় ভরে দিয়ে এভাবেই শুরু হলো মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বিষয়ক জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

দেশসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মুখে গণজমায়েত বাদ দিয়ে আয়োজন করা হয়েছে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালা। আতশবাজির আয়োজন শেষে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলেই জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে পূর্বে ধারণকৃত দুই ঘণ্টাব্যাপী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ‘মুক্তির মহানায়ক’ প্রচারিত হচ্ছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পিক্সেল ম্যাপিংয়ের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শেষ হবে।

মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে রাত ৭টা ৫৯ মিনিটেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভের কাছে ভেসে আসতে থাকে সাংস্কৃতিক, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূরের ভরাট কণ্ঠ। প্রায় এক মিনিট ধরে তিনি অভিবাদন জানান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে। তাকে কৃতজ্ঞতা জানান স্বাধীন এই স্বদেশভূমি উপহার দেওয়ার জন্য।

 

এরপর কিছুক্ষণের নীরবতা। ঘড়ির কাঁটা রাত ৮টার ঘর ছুঁতেই এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আজ থেকে শতবর্ষে আগে ঠিক এ ক্ষণেই পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন ‘প্রিয় মুজিব ভাই’। আর তাই তো ঐতিহাসিক এই মাহেন্দ্রক্ষণকে উদযাপন করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভের গ্লাস টাওয়ারের চারপাশ শুরু হলো মুহুর্মুহু আতশবাজির ঝলকানি। রাতের অন্ধকার আকাশ যখন আলোয় ভরে গেলো হর্ষধ্বনি করে উঠলো উপস্থিত জনতা।

 

৬ মিনিট দশ সেকেন্ডব্যাপী চলা আতশবাজির ডিসপ্লের সময় নেপথ্যে বাজতে থাকে ৩টি গান: ‘শোনো একটি মুজিবুরের কণ্ঠ’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ ও ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’।

 

আতশবাজির এ রোশনাই দেখতে উদ্যানে ভিড় জমিয়েছিলেন সর্বস্তরের হাজারও মানুষ।

 

স্ত্রী, মেয়ে, নাতনিকে নিয়ে এ উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আতশবাজির ডিসপ্লে শেষে উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বলেন, অসাধারণ অনুভূতি। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এ আয়োজন দেখতে পারাটা সত্যিই সৌভাগ্যের।

‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরো বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য আয়োজন করার। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে আমরা আয়োজন কমিয়ে এনেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনসমাগম এড়িয়ে মুজিববর্ষের আয়োজন করছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০ 
ডিএন/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।