ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিনামূল্যে শরীরের তাপমাত্রা মাপছে সাভারের ফার্মেসিগুলো

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
বিনামূল্যে শরীরের তাপমাত্রা মাপছে সাভারের ফার্মেসিগুলো

সাভার (ঢাকা): বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসকে ঠেকাতে সরকারসহ সব দপ্তরগুলো কাজ করছে নিরলসভাবে।

হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সরকারি দপ্তর ও পোশাক কারখানায় করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক করা হচ্ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাভারের বিভিন্ন ফার্মেসি ও মেডিসিন কর্নারগুলোতে সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়াসহ বিনামূল্যে প্রাথমিকভাবে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে।

 

বুধবার (১৮ মার্চ) সকালে সাভার বাজার এলাকার কয়েকটি ফার্মেসিতে গিয়ে দেখা যায়, ফার্মেসিতে কেউ আসলে বিনামূল্যে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিয়ে নিজ বাড়িতেই থাকার জন্য বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যাদের শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রির উপরে তাদের স্থানীয় হাসপাতালের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

লিমন মেডিসিন কর্নারের বিক্রয় প্রতিনিধি মাহাবুব আলম তার ফার্মেসিতে পাঁচদিন ধরে ওষুধ নিতে আসা সকল ক্রেতাসহ সবাইকে থার্মাল স্ক্যানারে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দোকান খোলার পরেই থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে সবার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে প্রবেশ করতে দিচ্ছি। গতকাল পর্যন্ত আমরা কয়েকশ মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেছি। সাধারণত ১০৩ ডিগ্রি ও এর ওপরের তাপমাত্রা হলে আমারা তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এবং নিজ বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।

কর্নারটিতে ওষুধ নিতে আসা জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমে কর্নারে ঢোকার পরপরই আমার মাথায় কী যেনো একটি মেশিন ধরলো। পরে একজন বলল আপনার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক। বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারিনি পরে আমাকে কর্নারের সবাই বুঝিয়ে বললেন। আসলে করোনা যেভাবে চারপাশে ছাড়াচ্ছে আমরা নিজেরা নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন না হলে এটা মহামারি আকার ধারণ করবে। এমন সচেতনতা আমাদের জন্য অনেকটাই কাজে দেবে। সকল ফার্মেসিতে এমন উদ্যোগে নেওয়া উচিত।  

সাভার উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের উপজেলাতে গত দুই দিনে ১৬ জন প্রবাসীকে হোম কেয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আগামী ১৪ দিন তারা হোম কেয়ারেন্টাইনে থাকবে। এখন পর্যন্ত তাদের কারো মধ্যে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। আমিনবাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রকে কোয়ারেন্টাইন হিসেবে তৈরি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে ছয়জন রোগী রাখার মত ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছি। এছাড়া স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলো যে উদ্যোগে নিয়েছে এটি সাধারণ জনগণের জন্য ভালো। আশাকরি সবাই সচেতন থাকলে সাভারে কেউ আক্রান্ত হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।