এ সময় তার বন্ধু এস এম ফাহাদ (৩০) আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কাঁঠালতলা বিশ্বাস বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তারিয়েফ সুনাম দীপ খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা ডালমিল মোড় এলাকার কাজী গোলাম মোর্তজার ছেলে। তিনি ঢাকায় ডিজিএফআইয়ের সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বিকেল ৫টা ১৩ মিনিটে বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকায় কর্মরত ডিজিএফআইয়ের সহকারী পরিচালক তারিয়েফ সুনাম দীপ নিহত হয়েছেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ছিলেন। ভরদুপুরে দুর্ঘটনা ঘটায় রাস্তাটি জনশূন্য থাকায় ঘাতক ট্রাকটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘাতক ট্রাক এবং চালক ও হেলপারকে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত তারিয়েফ সুনাম দীপের বন্ধু আহত এস এম ফাহাদ জানান, বুধবার সকালে একটি মোটরসাইকেলে (খুলনা মেট্রো ন-১১-৮৭৬৬) তারিয়েফ সুনাম দীপ ও তিনি (এসএম ফাহাদ) যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভরত ভায়নায় পত্নতত্ত্ব নিদর্শন ‘ভরতের দেউল’ দেখতে যান। ভরতের দেউল দেখে তারা উপজেলার চুকনগর বাজারে ‘আব্বাসের হোটেলে’ দুপুরের খাবার খান। ভাত খাওয়ার পর তারা খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। দ্রুতগামী মোটরসাইকেলটি খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কাঁঠালতলা বিশ্বাস বাড়ির সামনে একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় বিপরীতগামী আরেকটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালক তারিয়েফ সুনাম দীপ নিহত ও তিনি বন্ধু মোটরসাইকেল থেকে রাস্তার বাইরে দূরে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে চুকনগর হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ডুমুরিয়া থানা পুলিশ হতাহতের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়।
২০০৭ সালের ১৬ মার্চ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান বাহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার মানজারুল ইসলাম রানার। তার সঙ্গে ছিলেন সাজ্জাদুল হাসান সেতু নামে প্রথম শ্রেণির আরেক ক্রিকেটার। তারা দুইজনও ডুমুরিয়ার চুকনগরের এই একই আব্বাস হোটেলে দুপুরে খেতে যাচ্ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এমআরএম/এএটি