সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিমুলিয়া ঘাট থেকে অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে নামছে। লঞ্চের ভেতরে গাদাগাদি করে বসে আছে যাত্রীরা।
এ নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীরা জানায়, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রবাস থেকে যারা এসেছেন তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ হচ্ছে। এখন চলাচল করতে গেলে বিভিন্ন জায়গার নানা মানুষের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে। লঞ্চে গায়ের সঙ্গে গা মিশিয়ে আসতে হয়েছে। এতো ভিড় থাকে যা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, এ নৌরুটে ৮৬টি লঞ্চ, দুই শতাধিক স্পিডবোট আর ১৮ থেকে ২০টি ফেরি চলাচল করে থাকে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই নৌরুট দিয়ে রাজধানী ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নৌযান মালিক ও চালকদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, লঞ্চে অনেক ভিড়। বসার জায়গা হয় না কিন্তু তারপরও যাত্রী উঠায়। বসতে গেলে শরীরের সঙ্গে শরীরের স্পর্শ লাগে। দাঁড়িয়ে থাকলেও গায়ে গায়ে ছোঁয়া লাগছে। আর নামার সময় তো ধাক্কাধাক্কি লেগে যায়। এখন এখানে কারো শরীরে করোনার ভাইরাস থাকলে সংক্রমিত হওয়া স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে আমাদেরই সচেতন হতে হবে।
সোবাহান নামে অপর এক যাত্রী বলেন, আমাদের চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। আমার কাছে মনে হয় প্রবাস থেকে যারা শিবচরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় নিজের বাড়িতে গেছেন তারা এই নৌরুটই ব্যবহার করেছেন। লঞ্চ, স্পিডবোটে বা ফেরিতে গেছেন। সেক্ষেত্রে এই নৌরুট বেশ ঝুঁকিপূর্ণই মনে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নৌযানগুলো সাধারণত পরিষ্কার করা হয় না। নোংড়া পরিবেশেই পার হতে হয় যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিএ’র কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, আমরা সচেতনতার জন্য বারবার মাইকিং করে নৌযান মালিক ও চালকদের নৌযান পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্দেশনা দিচ্ছি। লঞ্চের ভেতরে ডাস্টবিন রাখার ব্যবস্থা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এনটি