বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে এ জরিমানা করেন লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চিতা কর্মকার। জরিমানার পাশাপাশি উভয় পরিবারের আট সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লাখাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চিতা কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, অভিযানের সময় পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ফ্রান্স থেকে ফিরেই বিয়ে করায় বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করেনি ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাস্তায় থেকেই এ জরিমানা আদায় করা হয়।
তিনি আরও জানান, করাব গ্রামের আলাই মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া গত ১১ মার্চ ফ্রান্স থেকে দেশে ফেরেন। ২৬ তারিখ পর্যন্ত তার বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। কিন্তু তিনি সোমবার (১৬ মার্চ) বিয়ে করে ফেলেন একই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামে। সোমবার বিয়ের অনুষ্ঠান হয় হবিগঞ্জ শহরে। এরপর মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) মাসুক মিয়ার বাড়িতে তাদের ওয়ালিমা অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার রাতেই উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানতে পারে।
লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার কাজী আব্দুল্লাহ কায়ছার বাংলানিউজকে জানান, বর ও কনেসহ উভয় পরিবারের আটজন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। সতর্কতার সঙ্গে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বল বাংলানিউজকে বলেন, হবিগঞ্জ জেলার ৯ উপজেলায় মোট ৩৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তারা সরকারি নির্দেশনা মেনে সতর্কতার সঙ্গে করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এনটি