সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারত, চীন, ইতালিসহ করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে তারা দেশে আসেন। মহানগর স্পেশাল ব্রাঞ্চ জেলার নিরাপত্তা শাখাকে ৪৫০ পাতার একটি তালিকা দিয়েছে।
বুধবার (১৭ মার্চ) জেলার নিরাপত্তা শাখার সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর ওয়ারলেস ম্যাসেজের মাধ্যমে জেলার ৯ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এবং জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে সকল নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হয়। আহতদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
জেলার সিভিল সার্জন শাহ আলম জানান, ১৪ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। ইতালি ফেরত ১২ জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। আর দুইজনের একজন সৌদি ও ক্রোশিয়া থেকে এসেছে।
এদিকে, হোম কোয়ারেন্টিানে না থাকায় বাঞ্ছারামপুরে ওমান ফেরত এক প্রবাসীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন সারোয়ার জানান, মনির হোসেন আট দিন আগে দেশে আসেন। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে তিনি অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সরকারি নির্দেশনা না মানায় এবং এ ব্যাপারে সবাই যাতে সচেতন হয় সে কারণে তাকে এ জরিমানা করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের নিরাপত্তা শাখা জানায়, ১ মার্চ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা ৮ হাজার ৭৬৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশে এসেছেন। এরপর আরও ২০৭ জন আসেন। তারা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছে। তারা সবাই করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ফিরেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় এক বার্তায় জানানো হয়।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়, আগমনের তারিখ থেকে ১৪ দিন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এছাড়াও যে সমস্ত যাত্রীরা বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আসবে তাদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
নিরাপত্তা শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনের কাছে তারা এ চিঠি পাঠিয়েছেন এবং সব থানার ওসিকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি অনুরোধ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে সংক্রমণ ব্যধি আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এনটি