বুধবার (১৮ মার্চ) শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের অধিকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়- শ্রীমঙ্গল একটি পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা।
উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন হোটেল/মোটেল/রিসোর্ট/রেস্টহাউজ এ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগমনপ্রত্যাশী পর্যটকদের আগাম বুকিং নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। এমনকি ইতোমধ্যে নেওয়া বুকিংগুলো বাতিল ও উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার ক্ষেত্রে আপনার অগ্রণি ভূমিকা কামনা করছি।
ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যেক হোটেল/রিসোর্ট/রেস্টহাউজ মালিকদের সঙ্গে আমার মৌখিকভাবে কথা হয়েছে এবং চিঠিও পাঠানো হয়েছে যে, কোনো বিদেশিকে তো অ্যলাউ করা যাবেই না; বাংলাদেশেরও কোনো পর্যকটের বুকিং নেওয়ার দরকার নেই। আগে মানুষ বাঁচুক তারপর ব্যবসা করবেন। শ্রীমঙ্গলে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ৬১ জন হয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের সচেতনতার মাত্রা খুবই কম। যেখানে বিদেশ থেকে আসা মানুষেরা নিজ দায়িত্বে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাবেন যেখানে দু-একজন শহরে বের হয়ে যাচ্ছেন। আমরা ফোন করে মোবাইল নম্বর দিয়ে বলেছি সার্বক্ষণিক তাদের শারীরিক অবস্থা আমাদের জানাতে, আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসবো। তারপরও কেউ কেউ আমাদের সরকারি নির্দেশনা মানছেন না।
শিগগিরই শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনের শর্তভঙ্গের কারণে রোগীদের অর্থ জরিমানা করা হবে বলে জানান ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
বিবিবি/আরএ