বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিষদে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ অভিযোগ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. এবিএম জাফর উল্যা।
সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য বলেন, ইউএনও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৫ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের থেকে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। উপজেলার ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নমানের বায়োমেট্রিক মেশিন ৭ হাজার টাকার স্থলে ১৭ হাজার টাকা নিয়ে অতিরিক্ত টাকা আত্মসাৎ করেন।
হাটবাজার ও জলাশয়ের ইজারার টাকা তার সিএ জাহেরের যোগসাজশে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে ৫ হাজার টাকা এবং
এসএসসি/দাখিল, জেএসসি/জেডিসি, পিএসসি/এবতেদায়ী পরীক্ষার প্রতিটি কেন্দ্র থেকে বাধ্যতামূলক ১৫ হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণ করেন।
এছাড়াও গৃহহীনদের জন্য সরকারি অর্থে গৃহ নির্মাণে অনিয়মসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে শিগগিরই তাকে বদলি ও দুর্নীতির বিচার দাবি করেন তিনি।
এসময় সংসদ সদস্য আরও বলেন, দুর্নীতিবাজ ইউএনও অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার একই দাবিতে ইউএনওর বিরুদ্ধে উপজেলা চত্বরে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
আরএ