ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি সংবাদ সম্মেলন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিস (এফডিএসআর)।

বুধবার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, সারাদেশ থেকে চিকিৎসকরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

করোনা ভাইরাস নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে অনেক জ্বরের রোগী দেখতে হয়। এরমধ্যে কারো শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস আছে কিনা তা নিশ্চিত করার কোনো উপায় নেই। নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভস বা কোনো পোশাকও নেই। দেশে কোভিড-১৯সহ যেকোনো ভাইরাস রোগের ল্যাবরেটরি টেস্ট করার সুযোগ খুবই সীমিত।

সংগঠনটির উপদেষ্টা ডা. আব্দুন নূর তুষার বলেন, কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সারাবিশ্ব এখন জরুরি অবস্থার মধ্যে আছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ এই ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত। বাংলাদেশও বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে আছে। ইতোমধ্যে ভাইরাসবাহী কিছু মানুষ ও কয়েকজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে সরকারকেই ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে ডাক্তারসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার ব্যাপারটিতে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এভাবে চললে দেশে যদি কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ে, তাহলে ডাক্তারসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীরা হুমকির মুখে পড়বেন।

তিনি বলেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় সন্দেহজনক রোগী আর নিশ্চিত রোগী কিভাবে চিহ্নিত করবেন সে ব্যাপারে একটা গাইড লাইন দরকার। কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটা গাইড লাইন তৈরি করেছে। ওই গাইড লাইনের আলোকে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে চিকিৎসকদের জন্য একটা ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গণমাধ্যমকর্মীরাও ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাদের সংবাদ সংগ্রহ ও পাঠ‍কালীন পূর্ণজীবাণু বিরোধী পরিবেশ নিশ্চিত করা। পিপিই দেওয়া যথেষ্ট পরিমাণ সাবান ও স্যানিটাইজার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিজেদের শরীরের প্রতি যত্নশীল হবেন। অতিরিক্ত কাজের চাপেও যতটুকু সময় পাওয়া যায় ঘুমিয়ে নিতে হবে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও যতটা সম্ভব এক্সারসাইজ করতে হবে। এ সময় সব ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীর শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকাও জরুরি। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলার মতো বর্তমানে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের ডাক্তারসহ সব স্বাস্থ্যকর্মী সরকারের পাশে থাকবে। বরাবরের মতো করোনার বিরুদ্ধে যৌথ সংগ্রামে আমরা সংবাদকর্মীদেরও পাশে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক এ বি এম আবদুল্লাহ, ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিসের চেয়ারম্যান ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন, মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ মার্চ ১৯, ২০২০
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।