ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুরে খাওয়ার অযোগ্য ১৮৫০ কেজি মাংস জব্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
মিরপুরে খাওয়ার অযোগ্য ১৮৫০ কেজি মাংস জব্দ খাওয়ার অযোগ্য মাংস জব্দ করছে র‌্যাব। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে বিদেশ থেকে আমদানি করা খাওয়ার অযোগ্য ১৮৫০ কেজি মাংস জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় খাওয়ার অযোগ্য এ মাংস সংরক্ষণের দায়ে দুই গোডাউন মালিককে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (১৮ মার্চ) রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত মিরপুর ১১ নম্বরের দু’টি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এ মাংস জব্দ করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন র‍্যাব-২ এর (সি পি সি-২) কোম্পানি কমান্ডার মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান।

র‌্যাব-২ (সিপিসি-২) অধিনায়ক মেজর এইচএম পারভেজ আরেফিন বাংলানিউজকে বলেন, এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে মিথিলা পরিবহনের মালামাল রাখার নোংরা বক্স থেকে বিদেশ থেকে আমদানি করা খাওয়ার অযোগ্য ১৪৮ কেজি মহিষের মাংস জব্দ করা হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করা এ মাংস রংপুরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছিল।

তিনি জানান, এই সূত্র ধরে র‌্যাব মিরপুর ১১ নাম্বারের তালাব বিহারী পল্লী মাংসের গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুই গোডাউনের একটি থেকে ১৪৮০ কেজি এবং অন্যটি থেকে ৩৭০ কেজি মাংস জব্দ করা হয়।

মেজর পারভেজ আরেফিন বলেন, গোডাউন মালিক মো. জালাল এবং মো. কামাল দীর্ঘদিন এ ব্যবসা করে আসছিলেন। তাদের গোডাউনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণের কারণে মাংসের গুণগত মান সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এই মাংস ভক্ষণে শরীরে নানা ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ফুড পয়জনিং, অ্যানথ্রাক্স, ক্যান্সার, রেবিস সহ অন্য মারাত্মক ধরনের রোগের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান আলানা নামক একটি কোম্পানি থেকে ওই দুই গোডাউন মালিক মাংস আমদানি করে থাকেন। এই মাংসের গুণগতমান সংক্রান্ত কোনো সনদ ছিলো না। এছাড়াও আমদানির বিপরীতে কোনো ভাউচার কিংবা রেজিস্টার পাওয়া যায়নি। এই অসাধু চক্রটি উক্ত খাওয়ার অযোগ্য মাংস বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সুপারশপে এবং রাজধানীর বাইরে অন্য জেলা শহরগুলোতেও পাঠায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মো. জালালকে দুই লাখ এবং মোহাম্মদ কামালকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা মাংসগুলো ধ্বংস করা হয়।

ভবিষ্যতেও এ ধরনের চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে জানান মেজর পারভেজ আরেফিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
এমএমআই/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।