এ নিয়ে সারাবিশ্বের মতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের মানুষও। করোনার আতঙ্কে পাল্টে গেছে হোটেল, রেস্তোঁরা, খেলার মাঠসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলো।
সাভারের আশুলিয়ায় বিনোদনকেন্দ্রগুলো সব সময় লোকজনের উপচে পড়া ভিড় থাকেই। কিন্ত গত দুই দিনে করোনার রেশে বিনোদনকেন্দ্রগুলো যেন থেমে গেছে।
সরেজমিনে সাভারের বিনোদনকেন্দ্র ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাতে গোনা দুই একজন ছাড়া কোনো মানুষ আসতে দেখা যায়নি। যারা আবার ফ্যন্টাসির উদ্দেশে আসছে করোনা আতঙ্কে তারাও ফিরে চলে যাচ্ছে।
এদিকে, নন্দন পার্ক, গোলাপ বাগান ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহ থেকে নন্দন পার্কে অনেক রকম দর্শনার্থী এসেছে। গোলাপ বাগানেও সাধারণ দিনের মতো মানুষ উপস্থিত হয়নি। জাতীয় স্মৃতিসৌধে গত কয়দিন মানুষের চলাচল একেবারেই কম ছিল। তার মধ্যে গতকাল (১৮ মার্চ) থেকে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ফ্যন্টাসি কিংডমমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুন্জরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখনো ফ্যন্টাসি কিংডম বন্ধের ঘোষণা পায়নি। বন্ধের নির্দেশ পেলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে গত কয়দিন ধরে একেবারেই দর্শনার্থী কম আসছে। গতকাল মাত্র ১১ জন দর্শনার্থী এসেছিল। আমরা ফ্যান্টাসির প্রতিটি গেটে দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে ভেতরে যেতে দিচ্ছি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোনো নোটিশ আমাদের কাছে আসেনি। তবে সামনে ২৬ মার্চ উপলক্ষে আমরা স্মৃতিসৌধে জন সাধারণের প্রবেশ সীমিত করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে সাভার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সাভারের সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধের জন্য নোটিশ দিয়েছি। যারা নির্দেশনা না মেনে বিনোদন কেন্দ্র চালু রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
এনটি