বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দিনব্যাপী শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় বঙ্গবন্ধু সড়কের দুপাশে, শহরের খাজা সুপার মার্কেটের সামনে, চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মিনারের পেছনেসহ প্রতিটি মোড়ে মোড়ে মানুষের ভিড়।
জানা যায়, এর মধ্যে ঢাকাসহ শহরের বিভিন্ন অফিস আদালত তাদের অনেক কর্মচারীদের বাড়িতে অবস্থান করে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকে করোনার ছলে যোগ দিচ্ছেন না দূরের কর্মস্থলে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছুটি যেন তাদেরকে আরো আড্ডামগ্ন করে তুলেছে। বিকেলের পর যেন শিক্ষার্থীদের আড্ডার মেলা জমে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে। এমন অবস্থায় রাত ৮টায় র্যাব মাঠে নেমে মাইকিং করে ও বুঝিয়ে জনসাধারণকে সরাতে অনেক চেষ্টা করেন। তবে মানুষ তাতেও তেমন সাড়া দেয়নি। এমন অবস্থা চলমান করোনা ঝুঁকিতে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ জানান, জনসমাগম এখন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। কাজ কর্ম না থাকলে বাড়িতে থাকাই ভালো। এর মধ্যে এভাবে জনসমাগম যদি হয়ে থাকে তাহলে তা আসলেই ভয়ঙ্কর হতে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। আমি নিজেই নগরবাসীকে প্রয়োজন ব্যতিত বাড়ি থেকে বের না হতে অনুরোধ করছি।
র্যাব ১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানান, জনসমাগম না করতে কঠোরভাবে বলা হচ্ছে। নির্দেশ অমান্য করলে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন থেকে র্যাবের সদস্যরা নিয়োমিত মাঠে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
এএটি