ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মদ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন। ওই প্রবাসী ইউরোপের একটি দেশ থেকে এসেছিলেন।
জানা যায়, প্রবাসীরা বাড়িতে আসার পর দিন থেকে বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে হাট-বাজারসহ লোকালয়ে ঘোরাঘুরি শুরু করেন। ফলে এলাকায় দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছিল। গত ৪৮ ঘণ্টায় পুলিশ, জনপ্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের তৎপরতায় বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত ২শ ৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ইতালি, স্পেন, জার্মানি, কুয়েত, সৌদি আরব, কাতার, আবুধাবি, ভারত থেকে আসা প্রবাসী বেশি। তবে এসব প্রবাসীদের মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত রয়েছেন কি-না তা জানা যায়নি।
এদিকে শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহেরের সভাপতিত্বে করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার লক্ষ্যে জনসচেনতা ও করণীয় ঠিক করতে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।
অন্যদের মধ্যে ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শিহাব উদ্দিন রানা, ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহম্মদ, ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক মজুমদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিবি জুলেখা শিল্পি, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব, পাঠাননগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল হায়দার চৌধুরী জুয়েল, রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান রবিউল হক মাহবুব, মহামায়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গরীব শাহ হোসেন বাদশা, উপজেলা জাসদের সভাপতি আবদুল হাই, ছাগলনাইয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মেয়র, চেয়ারম্যান, সদস্যসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল চৌধুরী বলেছেন, কষ্ট হলেও নিজের ও দেশের মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে প্রবাসী ভাইদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। উপজেলায় ওয়াজ মাহফিল, বিয়েসহ সবধরণের সভা-সমাবেশ না করতে উপজেলাবাসীর প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
এসএইচডি/এইচএডি