শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকেলের পর শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। চলতি মাসেই সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৫ হাজার ৩৯ জন প্রবাসী নারায়ণগঞ্জে ফিরেছেন যাদের মধ্যে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন মাত্র ৬৯ জন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছুটির দিন হওয়ায় দুপুরের দিকে জনসমাগম কম থাকলেও বিকেল হবার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ বের হয়ে শহরের শহীদ মিনার, চাষাঢ়ার বিভিন্ন স্থানে ও এলাকার মোড়ে মোড়ে ভিড় করছেন। মানুষের সমাগম দেখে কোনোভাবেই বোঝার উপায় নেই দেশে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে ঘরে থাকার নির্দেশনা রয়েছে।
শহরের এ জনসমাগম ঠেকাতে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) মাঠে নামে র্যাব। তারা মাইকিং করে মানুষকে নানাভাবে বুঝিয়ে এ ঝুঁকি থেকে নিজেকে এবং জেলাকে মুক্ত রাখতে বাড়ি ফিরে যাবার কথা বললেও র্যাব চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে জনসমাগম।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল ও চিটাগাং রোড মোড়ে অবস্থান নিয়ে সবাইকে সচেতন করে বাড়ি ফিরতে বলে র্যাব। তবে র্যাবের সেই নির্দেশনাও মানুষ তেমনভাবে আমলে না নিয়ে গল্প ও আড্ডায় মেতে ওঠে। এমন অবস্থা জেলার জন্য বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ বলেন, জনসমাগম এখন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। কাজ-কর্ম না থাকলে বাড়িতে থাকাই ভালো। এর মধ্যে এভাবে জনসমাগম যদি হয়ে থাকে তাহলে তা আসলেই ভয়ংকর হতে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। আমি নিজেই নগরবাসীকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হতে অনুরোধ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
এমআরপি/এফএম