এসব কারণে সিলেটে বিদেশফেরতদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রশাসন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুক্রবার (২০ মার্চ) পর্যন্ত ২৬ হাজার ৫০৩ জন প্রবাসী দেশে ফিরলেও বিভাগজুড়ে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন মাত্র ১ হাজার ২১৫ জন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) পর্যন্ত এই বিভাগে ৮৮২ জন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও শুক্রবার আরো ৩৩২ জন বেড়েছে। এরমধ্যে সিলেটে আরো ১০৪ জন বেড়ে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৮২ জন, সুনামগঞ্জে নতুন ৪৮ জনসহ হয়েছেন ৯১ জন, হবিগঞ্জে নতুন ৮৯ জনসহ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫ জনে এবং মৌলভীবাজারে ১০১ জন বেড়ে ৩১৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে আসা ১৩২ প্রবাসীর মধ্যে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে এসেছেন ১৩২ জন, এর মধ্যে ১০০ জনই যুক্তরাজ্য ফেরত। তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ২২ জন এবং সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে আরো ১০ জন দেশে প্রবেশ করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমাদের হিসাব অনুসারে প্রবাস থেকে সিলেট বিভাগে আসা ২৬ হাজার ৫০৩ প্রবাসীর মধ্যে ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে ১৯ হাজার ৩৯০, তামাবিল হয়ে ৩ হাজার ৮৭৪, সুতারকান্দি হয়ে ৭২২, জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ১১২৮, চুনারুঘাট বাল্লা শুল্ক স্টেশন দিয়ে ২২০ জন, মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার ফুলতলা শুল্ক স্টেশন দিয়ে ১৮৯ এবং কুলাউড়া উপজেলার চাতলা শুল্ক স্টেশন দিয়ে ৯৮০ জন দেশে প্রবেশ করেছেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, প্রবাসীদের দেশে আসার তুলনায় কোয়ারেন্টিনের হিসাব খুবই নগন্য মানছেন, তবে তারা প্রশাসনের কাছে তালিকা দিয়ে দেন। এ বিষয়ে প্রশাসন খোঁজ-খবর নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
এনইউ/এএ