শনিবার (২১ মার্চ) সকালে রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের খাদ্যদ্রব্যের কোনো সমস্যা নাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়াও সারা বাংলাদেশের বড় কৃষকদের কাছেও ধান, চাল মজুদ আছে। আমাদের ক্ষেতে ফসল আছে, কৃষক ফসল ফলাচ্ছেন। তরকারি, শাক-সবজি আমাদের প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে। ’
সবাইকে প্রয়োজনের বেশি পণ্য না কেনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে যার যতটুকু প্রয়োজন সেইটুকু আপনারা সংগ্রহ করেন। এ কারণে বাজারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হলে বাজারে জিনিসের দাম বেড়ে যায়। এতে যার টাকা আছে তিনি হয়তো কিনতে পারছেন কিন্তু যারা সীমিত আয়ের তাদের জন্যতো এত কেনা সম্ভব না, তাদের কষ্ট হয়ে যায়। অন্যকে এভাবে কষ্ট দেয়ার অধিকার কারো নাই। ’
বাজার মনিটরিং বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বাজার নিয়ন্ত্রণে নজরদারির জন্য সাধারণ মানুষের প্রতিও আহ্বান জানান।
এ ছাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রধানমন্ত্রী গ্রামের জমিতে ফসল ও তরকারি ফলানোর পরামর্শ দেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সবাইকে আশস্ত করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ইতোমধ্যেই অর্থমন্ত্রী, অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামী এক বছরের খাবার কেনার সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এমইউএম/এবি