ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অস্তিত্বের প্রয়োজনেই বন রক্ষা করতে হবে: বনমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
অস্তিত্বের প্রয়োজনেই বন রক্ষা করতে হবে: বনমন্ত্রী

ঢাকা: আমাদের মানব জাতির অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনেই বনাঞ্চলকে রক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন ভবনের হৈমন্তী মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

শাহাব উদ্দিন বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।

যেকোনো দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য ন্যূনতম শতকরা ২৫ শতাংশ বনভূমির প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্বের মোট ভূখণ্ডের শতকরা ৩১ শতাংশ এলাকা বনভূমি। এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর, যা আমাদের দেশের আয়তন এর প্রায় শতকরা ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।  

বনভূমি রক্ষায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বনমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ২০২৫ সালের মধ্যে শতকরা ২৪ ভাগের বেশি বনভূমিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার খাতিরেই আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বনভূমি রক্ষা করতে হবে।

আন্তর্জাতিক বন দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. বিল্লাল হোসেন, এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।  

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ শফিউল আলম চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রকিবুল ইসলাম মুকুল।  

ড. আইনুন নিশাত বলেন, আমরা মুজিববর্ষ পালন করছি। বিভিন্ন লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিষয়ে লিখছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতি ও পরিবেশের বিষয়ে যে অবদান এ বিষয়টা কেউ উল্লেখ করছে না। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালেই সংবিধানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন সংযোজন করেছিলেন।

সভার শুরুতেই বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শুধুমাত্র দেশের স্বাধীনতা অর্জনই নয়, দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী।

আলোচনা সভা শেষে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সাতজনকে বনায়নের লভ্যাংশ বাবদ প্রায় ২০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
আরকেআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।