শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের সভাপতিত্বে জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কার্যালয় থেকে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অনেকগুলো নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ ও সার্বক্ষণিক নজরদারি এবং বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ গণজমায়েত হয় এমন অনুষ্ঠানসমূহ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক বলেন, এখন আমাদের কাজ হলো গত ১৫ দিনে বিদেশফেরত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা। যদি কেউ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে না চায় তাহলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আনা হবে।
চায়ের দোকানসহ বিকল্প জায়গাগুলোতে যেন গণজমায়েত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, সকলকে বুঝাতে হবে, গ্রামের চৌকিদার, দফাদার ও বিভিন্ন এনজিওকে কাজে লাগিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রত্যেক অফিসের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার টেবিল রাখতে হবে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে হাত ধোয়া অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নাপিতদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
গণজমায়েত এড়িয়ে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমানে কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করে মজুত করছেন। তাদেরকে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় না করার জন্য বুঝাতে হবে। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে বলে তিনি জানান।
এ সময় তিনি সরকারি ছুটির দিনগুলোতে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার এবং প্রত্যেককে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. এনামুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এসএস/এমকেআর